সাগর হোসেন। কুষ্টিয়ার খোকসার বেতবাড়িয়া গ্রামের মেধাবী মুখ। ১০ বছর আগে বাবা ওয়াজেদ মণ্ডলকে হারিয়ে মায়ের আঁচল ছিল বেঁচে থাকার অবলম্বন। শান্তশিষ্ট সাগর এই অবস্থায়ই যুদ্ধ করে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকও শেষ করে হতভাগা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল। শিক্ষকরাও অদম্য এই সাগরের মধ্যে মণি-মুক্তার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিল।
তারপর পড়াশোনায় আর ঠেকে থাকতে হয়নি কালোর সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এই সাগরকে। ২০১৫ সালে খোকসার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে এসএসসি। এর পর খোকসা সরকারি কলেজ থেকে ভালো ফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয় উচ্চশিক্ষায়। ভালো ফলাফলের জেরে একই কলেজে ভর্তি হয় স্নাতক সম্মানে। এর মাঝে হতভাগা এই পরিবারটির দায়িত্ব নেয় চাচা বজলুর রশিদ টুটুল। চাচারও টানাপোড়েনের সংসার। তারপরও টেনেছেন অনেকদূর।
কিন্তু হঠাৎ করেই সাগরের পথচলার ঢেউকে থামিয়ে দিতে হানা দেয় ঘোর অমাবশ্যা! গতমাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে অদম্য সাগর। কিছুদিন পরেই সাগরের মাকে হতাশ করে সাগরসমান দুঃসংবাদ দেয় চিকিৎসক। একটি কিডনি পুরোটাই অকেজো অন্যটির ৪০ শতাংশ বিকল। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বনের এমন দশায় অসহায় থেকে আরো অসহায় বনে যান সাগরের জনমদুখী গর্ভধারিনী।
বর্তমানে সাগরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছে পরিবার। সাগর এখন রাজধানীর ঢাকার শ্যামলীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরোপুরি সেরে উঠতে প্রয়োজন ১৪-১৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই সাগরের চিকিৎসার অর্থ যোগানে উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামবাসীসহ সাগরের সহপাঠি ও এলাকার কিছু মানবিক মানুষ।
সাগরের মিতালি ঢেউকে এখনো ফেরানো সম্ভব। যদি বিত্তবান ও মানবিক মানুষগুলো আরেকটু মানবিক হোন। যার যার অবস্থান থেকে সামান্য একটু সহানুভূতি দেখালেই বেঁচে উঠতে পারে সাগর নামের মেধাবী এই ছেলেটি। তাহলেই ঠেকানো যাবে ১০ বছর আগে না থামা সাগরের সেই ঢেউ। যে ঢেউ লুকিয়ে আছে একটি মায়ের স্বপ্ন আর তার বেঁচে থাকার অবলম্বন, সাগরের সহপাঠিদের মুখেও ফুটবে সেই চঞ্চলতার মধুর হাসি।
সাগরের চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন-
কাজল (সাগরের চাচাতো ভাই) ০১৩০৯ ৮৮৮৩০৭ (বিকাশ)
নাহিদুজ্জামান শয়ন ০১৭১২৪৪৯৫৩৯ (নগদ)
সহায়তা পাঠানোর আগে অবশ্যই পরিবারের সদস্য কিংবা খোকসার মানবিক মানুষ নাহিদুজ্জামান শয়নের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।