সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য চেম্বার জজ হিসেবে কুষ্টিয়ার খোকসার সন্তান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২৩ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর চেম্বার কোর্টে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বেলা ১১টা থেকে মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনাকালীন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান চেম্বার আদালতে মামলা পরিচালনার দায়িত্বভার পালন করে আসছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএস) চেয়ারম্যান হিসাবে পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিজেএস চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি সিদ্দিকীর পুনঃনিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর সাতক্ষীরার আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন।
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমএ করেন। এরপর ধানমন্ডি ল’ কলেজে এলএলবিতে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে আইন বিষয়ে ডিগ্রি গ্রহণ করেন। পরে তিনি পেশাদার আইনজীবী হিসাবে প্রাকটিস শুরু করেন।
১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০১৩ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। দেশে-বিদেশে বিচারকদের বিভিন্ন সম্মেলনেও অংশ নেন তিনি।
এরপর ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএস) চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেন। মেয়াদ শেষে আবারও তাকে পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়।