কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্রসহ চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় লোকদের ধাওয়া ও হামলার মুখে পড়েছে ছাত্রলীগের তিনকর্মী সহ কয়েকজনের একটি সংঘবদ্ধ দল। জানা গেছে, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দৌলতপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে হয়ে আসা দুর্নীতি-চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার পর কিছু মানুষ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সহ ও-ই সমস্ত দপ্তরে পুনরায় চাঁদাবাজি করতে চাইলে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতারা তাতে বাঁধা দেয়। কয়েকজন দলীল লেখকের কাছে থেকে ইতোমধ্যে প্রাণের ভয় দেখিয়ে টাকাও নিয়েছে অভিযুক্তরা।
পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর সকালে দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলীর ছেলে দৌলতপুর উপজেলা যুবদল নেতা কর্নেলের নেতৃত্বে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শিতলাইপাড়ার রতন, চকদৌলতপুরের আকবর হোসেনের ছেলে আসাদ, মর্জেল, রিমন এবং ছাত্রলীগের ফয়সাল, নোবেল, হাবিব সহ আরও ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থান নেয় এবং রেজিস্ট্রার অফিস থেকে তাদের দলীল প্রতি চাঁদা দিতে হবে দাবি করে।
বয়জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা ও স্থানীয় ছাত্রজনতা তাদের মুখোমুখি হলে তারা হাতুড়ি, রড, রামদা পিস্তল সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র বের করে। এসময় স্থানীয় ছাত্রজনতা ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ৮ জন।
এ বিষয়ে বুধবার রাতেই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপজেলা সদর বাজার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতারা।
এদিকে কর্ণেলের দাবি, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় উভয় পক্ষের দু’টি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।