কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শিক্ষকরা অপমান করায় জিনিয়া খাতুন (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকালে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াদি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।নিহত জিনিয়া উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াদি গ্রামের হঠাৎ পাড়ার জিল্লুর শেখের মেয়ে। সুলতানপুর মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
নিহত জিনিয়ার মামা জাহিদ বলেন, শিক্ষকরা বকাবকি ও অপমান করায় জিনিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুনেছি ওর বান্ধবী বা কোনো ছাত্রীরা সিগারেট খেয়েছে। সেটার ভিডিও ধারণ করে লাল্টু নামে এক শিক্ষক। পরে লাল্টু ও শিউলি সহ কয়েকজন শিক্ষক জিনিয়াসহ কয়েকজন ছাত্রীকে অপমান করে এবং অনলাইনে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। স্কুল থেকে এসে বিকাল ৪টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। লাল্টু মাস্টারের চরিত্র ভালো না। সে আমার বোনের মেয়ের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। লাল্টু মাস্টার সহ অভিযুক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বলেন, জিনিয়ার বান্ধবীদের সিগারেট খাওয়ার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে লাল্টু মাস্টার। এরপর জিনিয়া সহ তার বান্ধবীদের অপমান করে লাল্টু মাস্টার সহ কয়েকজন শিক্ষক। অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে জিনিয়া। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানাতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে সুলতানপুর মাহাতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের ভেতরে সিগারেট খেয়েছিল। এজন্য শিক্ষকরা তাদের বকাবকি করেছে। এজন্য ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টা আমরা তদন্ত করে দেখব।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।