শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

খোকসায় ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে নি‌খোঁজ মাদ্রাসা প্রহরীর খোঁজ মি‌লে‌ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫১৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীর এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংশোধনের জন্য বাঁধনসহ দুই যুবককে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন জিয়াউল হক জিয়া নামে এক যুবক। টাকা দেওয়ার আট মাসেও সংশোধন হয়নি (জাতীয় পরিচয়পত্র) গত ৬ জুলাই পাশ্ববর্তী কুমারখালী উপজেলায় ঘুষের টাকা ফেরত আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা প্রহরী জিয়া।এ ঘটনার পরে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাইনি নিখোঁজ জিয়ার পরিবার।পরে আদালতে মামলা করলে আদালত সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

গতকাল (২১ জুলাই) কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে জিয়াকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। জিয়া কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের শোমসপুর মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং হুসনুল উলুম আলিম মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করেন।

জিয়া জানান, স্ত্রীর এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংশোধনের জন্য বাঁধনসহ দুই যুবককে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন। আট মাস হয়ে গেলেও তা সংশোধন করা হয়নি। পরে ৬ জুলাই কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি এলাকায় বাঁধনের বাড়িতে সেই টাকা ফেরত আনতে গেলে বাঁধন আমাকে টাকা দিবে না বলে বলে জানিয়ে দেই। এবং বেশি কথা বললে আমার ছেলেকে গুম করবে ওরা।

তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাঁধনসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর শুরু করলে একপর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে পড়লে আমাকে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখে। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে দেখি চারদিকে অন্ধকার। আমার আর কিছু মনে নেই। পরে তারা আমাকে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় ফেলে রেখে যায়।

জিয়ার ছেলে জিহাদ হোসেন বলেন,বাবা নিখোঁজের পরদিন কুমারখালী থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করলে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুর ইসলাম বলেন, ’উদ্ধার হওয়ার ঘটনাটি আমি জানার পরেই জেনারেল হাসপাতালে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা পলাতক রয়েছে। তাদের ফোনও বন্ধ রয়েছে। তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর