বেলা শেষে হলেও মাটি কাটা বন্ধ করে ভেকু মেশিন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ইউএনও আব্দুল জব্বার। উন্নয়নের নামে ইটভাটা থেকে বিনামূল্যে নেয়া ইটের দাম ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্তে এসেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ইউএনও আব্দুল জব্বার।
২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট এবং অনলাইন বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোট দাগে খবর আসে ইউএনও আব্দুল জব্বারের নানা কাণ্ডের। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়।
সোমবার খবর প্রকাশের পর থেকে মাটি-বালু কাটার বিভিন্ন স্পট থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ভেকু মেশিন। দৌলতপুর থেকে ইতোমধ্যেই ট্রাক যোগে বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন বের করে নেয়া হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, খবর প্রকাশের পর ইট ভাটা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি ডাকেন ইউএনও। তিনি জানান– যেহেতু মিডিয়ায় এসব নিয়ে খবর উঠেছে, সেহেতু সম্প্রতি যার কাছে যে পরিমাণ টাকার ইট ও নগদ টাকা নেয়া হয়েছে, সেটা দিয়ে দেয়া হবে। তবে কবে দেয়া হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত জানাননি তিনি।
এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নদীর বালু, সমতলের মাটি ভেকু মেশিনে কেটে শ্যালো চালিত ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গাড়িতে সরবারাহ করা হয় উপজেলার অন্তত ১০টি স্পট থেকে। যা অবগত থেকেও নিজস্ব সিন্ডিকেটের স্বার্থে ব্যবস্থা নেননি ইউএনও আব্দুল জব্বার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও উন্নয়নের নামে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছেন ইউএনও। বদলি আদেশ হলেও অজানা কারণে প্রায় তিনমাস দৌলতপুরেই আছেন ইউএনও আব্দুল জব্বার, এই সময়েও চালিয়েছেন ব্যপক আদায়। সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্বেও উপজেলা পরিষদ চত্বরে উন্নয়নের নামে তুলেছেন অন্তত ১০ লাখ টাকার ইট, তুলেছেন নগদ টাকাও, যা ছিলো বিনা পয়সায় এবং সুবিধা দেয়ার শর্তে।
বহুল আলোচিত সমাজসেবা দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে গড়িমসিরও অভিযোগ উঠেছে দৌলতপুরের ইউএনও আব্দুল জব্বারের নামে।
ভেকু সরিয়ে মাটি কাটা বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আব্দুল জব্বার বলেন, এগুলো মিথ্যা কথা। ‘আমরা কি বলতে যাবো না-কি! ভেক্যু সরায়ে নাও।’ এসময় টাকা বা ইট নেয়াই হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও বলেন, এসব বিষয়ে এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলেন।