কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফুল ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের ৪ দিনের মধ্যে রহস্য উন্মোচনসহ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন- উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোস্তফা’র ছেলে আলামিন ইসলাম (১৫)।
জানা যায়, নিহত আবু তৈয়বের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায়। সেখান থেকে ১৪-১৫ বছর পূর্বে উপজেলার আমলা এলাকায় চলে আসেন এবং অঞ্জনগাছি গ্রামে নার্সারি ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তৈয়ব আলির নার্সারিতে জালামিন দিন হাজিরায় কাজ করতেন। প্রতিনিয়ত সে দেরিতে কাজে আসায় তৈয়ব আলী তাকে বকাঝকা এমনকি মারধর পর্যন্ত করত। ১৭ নভেম্বর সকালে আলামিন দেরি করে কাজে গেলে সেদিনও কথা কাটাকাটি গালমন্দ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে জালামিনের আরও রাগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই তিনি ভারতী চ্যানেল সনি আর্ট’ থেকে সিআইডি সিরিয়াল দেখে হত্যার পরিকল্পনার করে।
পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পরে একাধিক বার মুঠোফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে কৌশলে ভিকটিমকে শিমুলতলা মাঠের মধ্যে ডেকে আনে। নিহত তৈয়ব আলী মাঠের মধ্যে আসলে আসামি আলামিন তাকে পিছন দিক থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তৈয়ব আলী মাটিতে পড়ে গেলে আলামিন একাধিক আঘাতের মাধ্যমে নৃশংস ভাবে তাকে হত্যা করে বলে জানা যায়।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম জানান, আসামি আলামিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। উক্ত ঘটনায় মিরপুর থানায় ২২ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল, যার নাম্বার-২৮।