মাইক্রোডিক বিক্রয়ের বিজ্ঞাপণ দেওয়া প্রতারক ছবি:সংগৃহীত
বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপণ দিয়ে নানা রকম পণ্য বিক্রি হচ্ছে। চটকদার এই সব বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সময় যাচাই বাছাই না করেই পণ্যের অর্ডার দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই।এমনই এক ঘটনার স্বীকার হয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিদ্দিক বিম্বাস।
প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে একটা মাইক্রোডিক বিক্রয়ের বিজ্ঞাপণ দেখে তিনি সেটা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে তিনি ঐ বিজ্ঞাপন দাতার ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে মাইক্রোডিক মেশিনটা কেনার কথা জানান, এবং তার দোকান কোথায় জানতে চান। বিজ্ঞাপন দাতা জানান তার মহম্মদপুরে দোকান আছে। এবং তিনি দাবী করেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সোসাইটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিল।
তাকে মহম্মদপুরের সবাই চিনেন এরপর স্বরল বিশ্বাস কুরিয়ার কন্ডিশনের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় মাইক্রোডিক মেশিনটি কিনেন ছিদ্দিক বিশ্বাস। কিন্তু মেশিনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় সেটা নষ্ট। এরপর তিনি ঐ জনৈক ইব্রাহীম খলিলকে মেশিন নষ্টের কথা জানান, পরে কথিত ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মেশিনটা ফেরত পাঠানোর কথা বলেন এবং আর একটা মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। তার কথা অনুযায়ী যথারীতি মেশিনটা ফেরত পাঠানো হয়। কিন্ত ইব্রাহীম আর কোন মেশিন ( মাইক্রোডিক ) পাঠাননি।
পরে ফোনও রিসিভ করেন না। ছিদ্দিক বিশ্বাসের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কথিত ঐ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর ফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি । পরে তার ফেসবুক প্রফাইলে গিয়ে ম্যাসেঞ্জাওে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মেশিন ( মাইক্রোডিক) ফেরত পাঠাবেন বলে জানান। তার দোকান ও বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।
কিন্তু বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে ও তিনি মাইক্রোডিক মেশিনটি ফেরত না পেয়ে সবাইকে এই প্রতারক সাবধান থাকার কথা জানান। ছিদ্দিক আরও বলেন, ফেসবুক প্রফাইলের তথ্য অনুযায়ী এই প্রতারকের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।