কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে হালনাগাদ ভোটারদের ছবি তোলার সময় বাধা প্রদানকারীদের চলে যেতে বলায় পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্যর উপর হামলা করেছে কতিপয় দুর্বৃত্ত । মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ (৫২), ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য মোছা. মাজেদা খাতুন (৪২), ও শিমুল (১৯) নামের এক যুবক আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলাকারীরা হলেন চাপড়া ইউনিয়নের সিংদাহ গ্রামের সুলতানের ছেলে রনু (৩৫), একই এলাকার মহতের ছেলে প্রিন্স (৩০),হেকমত মিস্ত্রির ছেলে জসিম (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তোলার সময় উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা বাধা সৃষ্টি করে । এসময় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ ও মাজেদা খাতুন তাদেরকে পরিষদ থেকে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য ২ জন বাড়ি যাওয়ার সময় পরিষদের গেটের সামনে থেকে দুর্বৃত্তরা তাদের মোটরসাইকেল আটকে রেখে মারধর করে এবং পকেট থেকে টাকা ও মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়।
চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু জানান, পরিষদের মধ্যে ছবি তুলতে বাধা দেওয়ায় তাদেরকে চলে যেতে বললে প্রথমে এক প্রকার ধাক্কাধাক্কি হয়। তাৎক্ষণিক পরিষদে দুপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছিলো। পরে আবারও তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পরিষদে আসলে আবারও তাদেরকে ফিরিয়ে দেই। পরে তারা দুই ইউপি সদস্যরা বাড়ি যাবার জন্য পরিষদের গেটের সামনে পৌঁছানো মাত্র হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুমারখালী থানার ওসিকে জানানো হলে তারা ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন ।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাওয়ার সময় মহিলা ইউপি সদস্যের সাথে তর্কাতর্কি নিয়ে একটি ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।