কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছি গাজী কালু চম্পাবতী মেলায় আবারও অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও র্যাবের যৌথ দল। এসময় মেলা কমিটিকে অর্থদণ্ড করা হয়। সোমবার (২৩ মে) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছি গাজী কালু চম্পাবতী মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে জেলার দুজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যাব ১২ সিপিসি ১ কুষ্টিয়ার একটি আভিযানিক দল।
এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীদুল ইসলাম ও কুমারখালী থানার পুলিশ সদস্য ও নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারী এবং আনসার সদস্যরা। মেলায় চলমান অবৈধ কর্মক কুমারখালী নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচাল এদিকে মেলায় উপজেলা প্রশাসন ও র্যাবের অভিযানের মাধ্যমে মেলায় চলমান অবৈধ খরগুটি (জুয়া) বন্ধের কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশসহ আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, অভিযোগ পাচ্ছিলাম মেলায় জুয়া খেলা হচ্ছে। পরে মেলায় অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে মেলা কমিটিকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং যেসকল বিষয় মেলায় চালানোর অনুমোদন নাই সেগুলো যাতে পুনরায় না চাই সে বিষয়ে তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও মেলায় অনুমোদন বিহীন অবৈধ কিছু চলবে না এমন শর্তে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মুচলেকা নিয়ে মেলা চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে তারা যদি আবারও মেলাতে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালায় এবার ফাইনালি মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই মেলা ঐতিহ্যবাহী সে কারনে মেলাটা আমরা বন্ধ করতে চাইনা। তবে মেলায় অনুমোদন বিহীন অবৈধ কিছু চলতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঐতিহ্যবাহী গাজী-কালু চম্পাবতীর মেলা শুরুর পর গত ১৬ মে ওই মেলায় অবৈধ র্যাফেল ড্রয়ের নামে লটারি, খরগুটি (জুয়া) ও কৌতুকের নামে নানা বয়সের নারীদের অর্ধনগ্ন নৃত্যের আসর চালাচ্ছিলো মেলা কমিটি। এমন খবর পেয়ে ১৭ মে রাতে মেলায় অভিযান পরিচালনা করে মেলায় অনুমোদনহীন অবৈধ র্যাফেল ড্রয়ের নামে লটারি, খরগুটি (জুয়া) নারীদের অশ্লীল নৃত্য বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডলর্।