মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

খোকসার হিরনের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: রবিবার, ২২ মে, ২০২২, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও কলেজ ছাত্র হিরন (২৩) হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রবিবার সকালে খোকসা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়। বিক্ষোভ কারীরা খোকসা বাস স্ট্যান্ডে এসে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্লোগান দিতে থাকে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন নিহত হিরনের বাবা আকমল হোসেন, মামা নিজাম উদ্দিন, গ্রামবাসী মতিয়ার রহমান, কলেজ ছাত্র সেলিম রেজা, বাঁধন, সুজন প্রমুখ।

সকাল ১১ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কটি অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করায় সড়কে দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়। । এতে সাধারন যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। পরে খোকসা থানা পুলিশের ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ এক ঘন্টার মধ্যে খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টারটি বন্ধ করা ও দোষীদের বিরুদ্ধের অভিযোগের সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে পাশে অবস্থান গ্রহন করে। পরে তারা আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহত কলেজ ছাত্র হিরনের বাবা আকমল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, তার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। ক্লিনিকের নানা অসামাজিক কাজের কারণে সে কয়েক দফায় চাকরি ছাড়তে চেষ্টা করেছে। কিন্তু গুমোর ফাঁসের ভয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ছাড়তে দেয়নি। বৃদ্ধ আকমল হোসেন ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ক্লকসিপল গেটের ভিতর থেকে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও কলেজ ছাত্র হিরন (২৩) কে সঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। তবে ওই নিহত কলেজ ছাত্র ও প্যাথলজি টেকনিশিয়ানের ডান হাতে বিদ্যুতের সর্টে পোড়ার দুইটি ক্ষত চি‎হ্ন পাওয়া যায় ।

প্যাথলজি টেকনিশিয়ান হিরন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘরিয়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। তিনি পাংশা সরকারী মহাবিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ওই হাসপাতালে চাকরি করতেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর