মুঞ্জিরা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পরপরই বিভিন্ন ভাবে তথ্য আসে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার। ১৬ মে প্রতিবেদনের প্রয়োজনে অনুসন্ধানে পাওয়া যায় পুলিশেরও অভিমত আত্মহত্যায় বেশি। তবে লাশের অবস্থান আর প্রাথমিক বিবরণীতে যেকেউই হয়তো ধারণা করবেন ৩০ -এর ঘরে বয়সি এই নারীর মৃত্যু স্বেচ্ছায় নয়।
রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শীতলাইপাড়া গ্রামের মিনহাজের স্ত্রী মঞ্জিরার এমন মৃত্যুর পর এখনও থানায় কেউ মামলা দায়ের করতে আসেননি বলে নিশ্চিত জানিয়েছেন ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা করেছে পুলিশ।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, নিহত নারীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তের মতো ও আঁচড়ের মতো দাগ পাওয়া গেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, নিহত ওই নারীকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহও পুলিশের রয়েছে। নারী পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মরদেহ খতিয়ে দেখেছেন।
দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ, ঠিকাদার ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের গৃহকর্মী ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও নিখোঁজ বলে জানা গেছে নানা সুত্রে।
অনেকেই ধারণা করছেন হত্যা বা যোগাযোগের আলামত ধ্বংসের জন্যেও মোবাইল ফোনটি উধাও করে দেয়া হতে পারে। তবে, প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহারের যুগে হয়তো হারানো মোবাইলেও থলের বিড়াল আটকে থাকবে না বেশিদিন, এমনটাই মন্তব্য তাদের।
এবিষয়ে গভীর তদন্ত চলছে, পর্যায়ক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শিতলাইপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেহেগুনী বাগানের এক প্রান্তের একটি ছোট্ট শিশু গাছ থেকে সোমবার সকালে লোক মারফত খবর পেয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহতের শরীর প্রায় বিবস্ত্র ছিলো।
রোববার পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাবার বাড়ি বেড়িয়ে কর্মস্থল ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের মাস্টার পাড়ার বাসভবনের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলো মুঞ্জিরা। অধ্যক্ষ, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতা সুমন খানের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। এক রাত পর লাশ পাওয়া যায় তার।
এঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।