কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে তিন স্তরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের অভাবনীয় সাফল্য নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। একটি বিদ্যুৎ সংস্থার আয়োজনে ছোট্ট প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার মাধ্যমে সাবমেরিনে বিদ্যুৎ সরবরাহের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে কুষ্টিয়া জেলাও।
দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা পারের দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায়। এখানেই আরেক প্রকল্পে তুলে ধরা হচ্ছে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারাহ সুব্যবস্থার বর্ণনাও। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় ২৩টি স্টলে তুলে ধরা হচ্ছে দেশের অগ্রগতি-উন্নয়ন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৭ মার্চ উদ্বোধন হওয়া মেলাটি চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনীর পাশাপাশি মেলায় নিজেদের স্টলে গ্রাহক সেবা দিচ্ছেন বিদ্যুতের ওই সংস্থার দৌলতপুর জোনাল অফিস। ইতোমধ্যেই দেড় শতাধিক সেবাও দিয়েছেন তারা।
সহকারি তথ্যসেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা পসরা সাজিয়ে বসেছেন গ্রামীণ নারীদের হাতে বানানো নানা সৌখিন উপকরণ, নকশীকাঁথা, শুকনো পিঠাসহ নানা জিনিসের। মাইন্ড ইন্সপায়ার টু ন্যাশনাল এচিভমেন্ট (মিনা) দলের পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত স্টলে থাকা কর্মীরা।
নারীদের জন্য নিবন্ধন চলছে ফ্যাশন ডিজাইন, কেঁচো সার, মাশরুম ও মধু চাষের পেশাদার প্রশিক্ষণের। ইতোমধ্যেই অর্ধশত নারী নিবন্ধন করেছেন সেখানে। আগতদের মধ্যে তুলে ধরা হচ্ছে লাল সবুজ ডট কমের বিবরণ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে প্রকল্পগুলোর সফলতা প্রত্যাশী আয়োজক ও প্রদর্শনকারীরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য কেন্দ্র, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দৌলতপুর জোনাল অফিসের স্টলগুলোতে চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। তবে বাদবাকি স্টলগুলোর অধিকাংশই ফাঁকা পড়ে।
ঘুরতে আসা ব্যক্তিদের অনেকেই অভিযোগ তোলেন, এ ধরনের মেলার পর্যাপ্ত প্রচার ও স্টলভিত্তিক পর্যাপ্ত প্রদর্শনী উপাদান থাকলে দেশবাসী আরও উপকৃত হবেন।
মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৩ মার্চ বুধবার পর্যন্ত বসবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।