বান্ধবীর সাথে প্রেম করিয়ে দিতে জুনিয়রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৃদুল হাসান রাব্বি। তিনি সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক ও শাখা ছাত্রলীগকর্মী ফজলে হাসান রাব্বি গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিভাগের কয়েকজন বান্ধবী ও একজন সিনিয়র আপুকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে বসে ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তূর্য হাসান। এ সময় মৃদুল হাসান রাব্বি তাদের অনুসরণ করেন। পরে ডায়না চত্ত্বর থেকে মেয়েদের হলে ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে পুরো রাস্তা অনুসরণ করেন রাব্বি ও তার এক বন্ধু।
তূর্যের সিনিয়র ও বান্ধবীরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে থাকেন। তূর্য তাদের হলে দিয়ে ফেরার পথে তার পিছু নিয়েছিলেন রাব্বি। এসময় ভয় পেয়ে দ্রুত হলে আসেন ওই ভুক্তভোগী। পরে তার পিছু নিয়ে ওই ছেলের হলের রুম পর্যন্ত গিয়েছিলেন রাব্বি। তুর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে থাকেন।
পরে ভুক্তভোগীর রুমমেট অনিকের মাধ্যমে তুর্যকে জিয়া মোড়ে ডাকেন রাব্বি। এসময় তিনি তুর্যকে হুমকি-ধামকি দেন, শাসান এবং তার বান্ধীর সাথে প্রেম করিয়ে দিতে বলেন। অনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এবং রাব্বির জুনিয়র। এসময় রাব্বি অনিককে তূর্যের আচারণগত সমস্যার কথা জানান। পরে ভুক্তভোগী ভয় পেয়ে বিষয়টি হলের সিনিয়রদের জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তূর্য বলেন, রাব্বি ভাইয়ের কথা শুনে খুব ভয় পেয়েছিলাম। তাই বিষয়টি বড় ভাইদের জানিয়েছি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত মৃদুল হাসান রাব্বি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি কারো পিছু নেইনি। আমি বিকেলে বাইকে এক বন্ধুর সাথে ঘুরছিলাম। হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তূর্যের সাথে তো আমার কথাই হয়নি।
