শনিবার সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৫ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধিনে ১১ টি ইউপিতে ১২৩ কেন্দ্রে ৭৩২ বুথে ভোট নেয়া হবে। শনিবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়।
এদিকে কুমারখালী এম এন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম নির্বাচনী ব্রিফিংয়ে আইন শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সকল পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনি প্রচার।
শনিবার সকালে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সরঞ্জাম পাঠান। তারা এগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, কুমারখালীতে উপজেলাতে ১২৩ টি কেন্দ্রে ১১ ইউপির ভোট নেয়া হবে। ব্যালট পেপার বাদে নির্বাচনের সব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। ভোটের দিন যথাসময়ে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।
জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম নির্বাচনি ব্রিফিংয়ে বলেন, রবিবারের ভোটে পুলিশের ভূমিকা থাকবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। দায়িত্ব পালনে পুলিশের অবহেলা মেনে নেয়া হবে না।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না,এবিষয়ে প্রশাসন সদা তৎপর রয়েছে।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল জানান, ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ প্লাটুন বিজিবির ১০ টি টিম, র্যাবের তিনটি দল ও পুলিশের ১১টি মোবাইল টিম থাকবে।তাছাড়া ৩ টা ইউনিয়নে মিলে ১ জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি করে টিম থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন করে অস্ত্রধারী পুলিশ ও ২ জন করে অস্ত্রধারী আনছার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিনা আক্তার বানু জানান, শনিবার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৭৩৭ জন পুলিশ সদস্য ও ২০৯১ জন সাধারণ আনছার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৩৮ জন। তন্মধ্যে পুারুষ ভোটার এক লক্ষ ২৬ হাজার ২৯৯ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা এক লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৯ জন। এছাড়াও এবারের নির্বাচনে বৈধ্য প্রার্থী হিসেবে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৫৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯২ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটাররা ইউনিয়নে উন্নয়নের জন্য কাজ করবে এমন সৎ যোগ্য প্রার্থীকেই বেচে নিতে চান সাধারণ ভোটারেরা।