কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা মারাত্মক আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে পান্টি বাজার থেকে নৌকার কর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
আহত ব্যক্তি পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ মঞ্জু (৫০)।
বর্তমান পান্টি ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান, স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান সোমবার সন্ধ্যার দিকে নৌকার প্রার্থী মান্নান মোল্লার ছেলে পিয়াসের নেতৃত্বে স্বপন, কামাল, রশিদ ও বায়োজিদসহ ১৫/১৬ জন আক্রমণের উদ্দেশ্য তার নির্বাচনী কর্মী উজ্জ্বলের দোকানে গেলে তাকে নামাজ আদায় করতে দেখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে দেশীয় অস্ত্র সহ অপেক্ষা করতে থাকে।এসময় উজ্জ্বল বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দোকান ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে জানানো হলে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন। এবং নৌকার কর্মীরা পরবর্তীতে রাত ৮ টার দিকে তার ভাতিজা মামুনের নিজেস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাথায় ১৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মামুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মান্নান মোল্লা জানান, সন্ধ্যায় বিএনপির প্রার্থী হাফিজের কর্মীরা মিছিল বের করে এবং তার কর্মীদের সাথে অসদাচরণ করে। যেকারণে পরবর্তীতে তাদের সাথে গন্ডগোল হয়েছে। তবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেবার বিষয়টি সত্য নয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে।