কুষ্টিয়া কুমারখালীতে শহর রক্ষা বাঁধে ধস। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় বাঁধে ধস নামে। শুক্রবার সকালে আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়।
শেরকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর পাড়ায় শহর রক্ষা বাঁধে শুকনো মৌসুমে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বাধের তীরে বসবাসকারী ছিন্নমূল ভূমিহীনদের কয়েকশ বসতবাড়ি।
হঠাৎ করে ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় পৌর এলাকার শহর রক্ষার বাঁধ ধসে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বড় গর্তে পরিনত হয়। বাঁধ প্রায় একশ ফুট ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় বাঁধের ব্লক সহ মাটি নদীতে গর্ভে বিলীন হয়।
পৌর পাড়া এলাকার সবুর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার কোন এক সময় বাঁধের ভাঙন শুরু হয়। শুক্রবার সকালে আমরা ভাঙন দেখতে পায়, এতে করে আমরা আতংকে রয়েছি।
এদিকে ভাঙন এলাকার মানুষ বলছেন- বাঁধ টি অনেক পুরাতন এর আগে কখনো এমন ভাঙন দেখা যায়নি। এবারের ভাঙনের যে তীব্রতা তাতে অতিদ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে শহরে পানি ঢুকে পড়বে।
এদিকে, ভাঙনের খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে হাজার- হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস, এম রফিক বলেন, শুকনো মৌসুমে বাঁধে হঠাৎ ভাঙন আতঙ্কে শুধু এই এলাকা না পুরো শহর আতংকে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এমনটি আশা করছি।তিনি আরও বলেন, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ না করা গেলে কুমারখালী শহর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, আমি এর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কে, আবাসন ও নদীর আশপাশের এলাকা ভাঙন বিষয়ে অবহিত করছিলাম। রবিবার সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাঃ সালাহ্ উদ্দিন উপ- প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বাঁধটি অনেক পুরাতন। কি কারণে বাঁধে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি জানতে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন্যার সময় আপৎকালীন বরাদ্দ থাকে। এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ নেই, তারপরও আমরা ভাঙনরোধে রবিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।