শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন

নৌকার পরাজয় ঠেকা‌তে মা‌ঠে নে‌ই কুমারখালীর আ.লীগ!

কুষ্টিয়ার সময় ডেস্ক / ৪৫৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৪৩ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যন্তরিন কারণে এবারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে পুরোপুরি সোচ্চার নেই আওয়ামী লীগ নেতারা। সে কারণে উপজেলার ১১টি উনিয়নে দলীয় প্রতীক নৌকা বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে চরম দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নৌকার মাঝিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের চেয়ে নিজস্ব কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে নির্বাচনি সভা সমাবেশসহ সকল প্রকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান খান ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান অরুণ একসাথে নৌকার পক্ষে নির্বাচনি কার্যক্রমে যাচ্ছেন না। আর সেই কারণেই মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীরাও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ না করে বরং নানা টালবাহানা করে যাচ্ছেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নির্বাচন করছেন। অবশিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকেই প্রকাশ্য নৌকা ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে থেকেই নির্বাচন করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান নৌকা প্রার্থীরা জানান, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছিল দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করা নিয়ে কোন প্রকার মাথা ঘামাচ্ছেন না উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। আর ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করে বেড়ালো তাদেরকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতারা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ না করে কিছু কিছু প্রার্থীর পক্ষে আলাদাভাবে কাজ করছেন। সে কারণে এবারের নির্বাচনে কুমারখালী উপজেলা নৌকা প্রতীকে চরম বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান খান বলেছেন দলীয় মনোনীত ১১ জন প্রার্থীর সাথে আমার কথা হয়েছে। তাদেরকে যেকোনো সমস্যা জানাতে বলেছি। আমি ইতিমধ্যেই কয়েকটি ইউনিয়ন এগিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী সভা করে ভোট চেয়েছি এবং দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কে দলীয় প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়েছি। আমি নৌকার লোক দলীয় কোনো প্রার্থী সাথে আমার কোন বৈরিতা নেই, দলীয় প্রার্থীরা যে কোন মুহূর্তে ডাকলে তাদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে যাব।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান অরুণের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। একদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন এখনও যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে নামেন তাহলে এই উপজেলায় অধিকাংশ ইউনিয়নে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। এজন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জেলা আওয়ামী লীগ সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা চেয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর