আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তিন যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারকৃতরা হলেন, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদকী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজীদের ভাই রবিউল আউয়াল,সদকী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কিরণ হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিরণ হোসেন।
১০ ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হারুন,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান রিন্টু ও উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে তাদের দলীয় সকল কর্মকাণ্ড থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
বহিষ্কারকৃত এই তিন নেতা দলীয় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার আব্দুল মজীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে আসছিল।
যুবলীগ নেতা রবিউল আউয়াল বলেন,আমি কোন যুবলীগের কমিটিতে ছিলাম না,সুতরাং আমাকে বহিষ্কার করার কিছু নেই। তবে উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম আছে কিন্তু সেই ব্যক্তি আমি নই।
সদকী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কিরণ বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে বলেন,আমি এখন পর্যন্ত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করি নাই,এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কোন নির্বাচনী প্রচারণা করিনি,দল আমাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিরণ হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নে নৌকার যোগ্য প্রার্থী না দেওয়ায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজীদের আনারস মার্কার নির্বাচন করছি।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হারুন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক দিয়েছেন,তাই নৌকার বিপক্ষে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই দলীয় হাই-কমান্ডের নির্দেশে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজ উপজেলার তিন যুবলীগ নেতা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিল যে কারণে তাদের দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।