কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যৌতুকের দাবিতে অসুস্থ স্ত্রীর হাত মুচড়ে ভেঙে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে । সোমবার সকালে নন্দলালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গৃহবধুর পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
গৃহবধূ শাপলার মামা হাসানুল আলম হিরন জানান, ২০১৩ সালে রনির সাথে তার ভাগ্নী শাপলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে রনি ও তার পরিবারের লোকজন শাপলাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করতো। বিয়ের কিছুদিন পর হিরন ব্রুনাই চলে যায়। এবং চলতি বছরের ৬ মাস পূর্বে সে দেশে ফিরে আসার পর থেকেই ব্যবসা করবে বলে শাপলাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে রনি টাকা আনার জন্য শাপলাকে চাপ দিলে সে অপারগতা প্রকাশ করে এসময় রনি হাত মুচড়ে ভেঙে দিলে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়। সেসময় রনি তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে এনে আটকে রেখে। সংবাদ পেয়ে শাপলার পরিবারের লোকজন তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পূনরায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক্স -রে করানোর পর জানা যায় শাপলার ডান হাতের হাড় ভেঙে তিন টুকরা হয়ে গেছে। যেকারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান শাপলার বাবা মারা গেছে অনেক আগে তার বোন( শাপলার মা) ছোট চাকরি করে তার টাকা দেবার কোন সামর্থ্য নাই। কারন ২০১৯ সালে শাপলার হার্ট জনিত সমস্যার কারনে তাকে ওপেন হার্ট সার্জারি করানোর জন্য তার মায়ের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে টাকা যোগাড় করা হয়। সেসময় রনির পরিবার থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করেনি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।