দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে করোনা। শুধুমাত্র উপসর্গ নিয়ে দিনে একশোর বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১২৮২ জন, যা মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগ।
আর দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল এই উপসর্গে মৃত্যুর তথ্যও রাখছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা ও চিকিৎসা না নেয়ায় বাড়ছে মৃত্যু।
সাত দিনের জ্বর নিয়ে সোমবার নওগাঁ থেকে রাজশাহী মেডিকেলে আসেন মরিয়মের বাবা। ছিল তীব্র শ্বাসকষ্ট। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার কয়েক মিনিটের মাথায় মারা যান তিনি।
রাজশাহী মেডিকেলে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ১৫৭৬ জনের। এদের মধ্যে ১২৮২ জনই মারা গেছেন পরীক্ষা না করিয়ে।
এদিকে চাঁদুপুর জেলাতেও ৩৯৭ জনের মধ্যে ২৭০ জনই মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, বাগেরহাট, নরসিংদী, মেহেরপুরেও মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই উপসর্গ নিয়ে। বাঁকি জেলাগুলো উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর তথ্যই রাখে না।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে করোনা। সাধারণ জ্বর মনে করে পরীক্ষা না করে স্থানীয়ভাবেই চিকিৎসা করান রোগী। জটিলতা বাড়লে যাচ্ছেন হাসপাতালে, কিন্তু তখন আর বাঁচানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানালো, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীরা হাসপাতালে নেয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন।
করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন বাড়িতেই। তাদের তথ্য কোথাও রাখা হচ্ছে না। এছাড়া সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়েও অনেকে আক্রান্ত হলেও জানাচ্ছেনা আশপাশের মানুষজনকে। আর এভাবে চলতে থাকলে সামনে যে আমাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।