সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

কু‌ষ্টিয়ার সম‌য়ে প্রকা‌শিত সংবা‌দের জে‌রে জলাবদ্ধতা নির‌সনে খোকসার মেয়র

ওবাইদুর রহমান আকাশ / ৫২৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

জলাবদ্ধতা: খোকসার এক‌টি রাস্তা ৫০ প‌রিবা‌রের দুঃখ! এই শিরোনামে স্থানীয় জনপ্রিয় পত্রিকা কুষ্টিয়ার সময় অনলাইনে শুক্রবার (২ জুলাই) সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে পৌর মেয়রের। তৎক্ষণাৎ পৌর মেয়র তারিকুল ইললাম সরজমিনে গিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসার পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের মাষ্টারপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতার নিরসনে ব্যবস্থা নেন।

শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মাষ্টারপাড়ায় তৎক্ষণাৎ সরজমিনে গিয়ে অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় তাৎক্ষণিক পাইপের মধ্যে অস্থায়ীভাবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেন পৌর মেয়র তারিকুল ইসলাম।

পৌর মেয়র তারিকুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার সংবাদ কুষ্টিয়ার সময়ে প্রকাশিত হলে জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তাৎক্ষণিক পাইপের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের অস্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এই বর্ষা মৌসুমের পর অতি দ্রুত এই জলাবদ্ধতা স্থায়ী সমাধান করা হবে বলেও জানান।

তিনি আরো বলেন, পৌরবাসীর কল্যাণে যতটা সম্ভব প্রতিটা মুহূর্তে আমি প্রস্তুত থাকবো জানালেন তিনি।

আরো পড়ুন: খোকসার জয় চানাচুরের কারখানাসহ ৩ দোকানীকে জরিমানা

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার খোকসার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতার কষ্টে আছেন ৫০টিরও বেশি পরিবার। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। আর এই জলাবদ্ধতার কারণেই এ পরিবারগুলোর ভোগান্তি এখন চরমে।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা বৃষ্টিতে আবারও একই দুর্ভোগে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে কঠোর বিধি-নিষেধে ঘরবন্দী লোকজনের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মরার উপর খাড়ার ঘা এ এলাকার বাসিন্দাদের।

শুক্রবার (২ জুলাই) পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাস্টার পাড়া সরজমিনে গিয়ে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পানিতে রাস্তা তলিয়ে গিয়েছে বলে জানান এই এলাকার বাসিন্দারা।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আবার তার উপর নেই ড্রেনের ঢাকনা এতে হরহামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। এমন ঝুঁকি নিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।

পৌর এলাকার মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা সন্তু সাহা জানান, একটু বৃষ্টিতেই পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। পৌর মেয়র মহাদয় এলাকায় এসে জলাবদ্ধ দেখে গিয়েছেন এবং পানি নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাও জানিয়েছেন।

সাজ্জাদ হোসেন ও সন্তু সাহার মতো আরও একাধিক বাসিন্দার সাথে কথা হলে তারা অক্ষেপের সাথে বলেন, আকাশ মেঘলা হলেই এলাকার মানুষের মুখে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসে এখন। সবগুলো পরিবার জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় থাকে। তবে কেউ কেউ বলছে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায় যা আগে কখনোই হয়নি।

তারা আরও বলেন, শহর এলাকার বাসিন্দা হলেও, এখন আমরা দুর্গম এলাকার মানুষের মতোই মানবেতর জীবন যাপন করছি। কিছু কিছু জায়গায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। আবার রাস্তার পাশে দিয়ে অপরিকল্পিত ড্রেনের উপরে ঢাকনা না থাকায় অনেকেই পড়ে যায় এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এমতাবস্থায় হাঁটে বা যানবাহন নিয়ে যেতেও আতঙ্কে থাকে কখন বিপদ নেমে আসে।

তবে এ বিষয়ে খোকসা পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি ওই এলাকায় গিয়েছি। আপাতত পাইপের মাধ্যমে পানি বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার জনগণ অপরিকল্পিতভাবে বালি ভরাট ও অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণে পুরনো ড্রেন অকেজো হয়ে পড়েছে। তবে এই বর্ষা মৌসুমের পরে নতুন প্রজেক্টের মাধ্যমে ড্রেন পুনঃস্থাপন করার মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং সুফল পাবে বলেও জানান।

দ্রুত এই জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান এলাকার বাসিন্দারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর