সুন্দর ফসল ফলাতে জৈব সার ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে একটি পূর্ণাঙ্গ সুষম জৈব সার হিসেবে বাজারে এলো অ্যাগ্রো অ্যালকেমির ভার্মি কম্পোস্ট।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) প্রতিষ্ঠানটি তাদের পন্য বাজারে এনেছে। প্রাথমিক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে এই সারটি। তবে খুব শীঘ্রয় সমগ্র কুষ্টিয়া জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর বিপনন শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
অ্যাগ্রো অ্যালকেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয় এই সার। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং গুণগত মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই সারে যুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও খামারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে মান উন্নয়ন করা হয়েছে এই সারের।
অ্যাগ্রো অ্যালকেমি জানায়, এই সারের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো তা বায়ো সিকিউরিটি অ্যাক্ট মেনে তৈরী করা হয়। ফলে এই সার থেকে ফসলে কোনো আগাছা জন্মায় না এবং ছত্রাক, ভাইরাস বা অন্যকোন রোগজীবাণু ছড়ায় না। এছাড়া এই জৈবসার ব্যবহার করলে জমিতে রাসায়নিক সার অর্ধেক ব্যবহারই যথেষ্ট। আর নির্দিষ্ট জমিতে পরপর তিনবছর এই সার ব্যবহার করলে চতুর্থ বছরে থেকে ফসল ফলাতে জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োজন হবে নামমাত্র।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী হোসাইন মোহাম্মদ সাগর জানান, ছাদ বাগানসহ যেকোনো ফুল, ফল, সবজি বা ফসলের জন্য অ্যাগ্রো অ্যালকেমির উন্নত মানের ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার প্রযোজ্য। এর গুণগতমানের কারণে আমরা আশা করি যে কৃষক বা খামারী কখনোই প্রতারিত হবেন না। বরং এই সার জমিতে ব্যবহার করলে ফুল-ফল-সবজি-ফসল যেমন সুন্দর হবে, তেমনি অটুট থাকবে এর গুণগত মানও।
এর আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর অ্যাগ্রো অ্যালকেমির খামার পরিদর্শন করে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তৎকালীন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পক্রিয়ায় সারের মান উন্নয়নের কাজ শেষ বাজারে আনা হলো সারটি।