হঠাৎ বাড়িয়ে দেওয়া দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার পর কুষ্টিয়ায় তরমুজের আড়তে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে চার তরমুজ ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমিন ও রিজু তামান্না আজ সোমবার দুপুরে শহরের পৌরবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামকে দুই হাজার, আবদুস সামাদকে তিন হাজার, জামান ট্রেডার্সের মো. রবিউল ইসলামকে তিন হাজার এবং মনিরুল ইসলামকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিক সব জরিমানা আদায় করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমিন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি ফল আড়তের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মণ হিসেবেই কিনে আনেন। কিন্তু কেজি প্রতি ২০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। এঁদের চারজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’
ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমিন জানান, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পুলিশ সদস্য কুষ্টিয়া জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রমজানের এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে সময় তুলনামূলক বড় ও ভালো মানের তরমুজ ২৭ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরুর আগেই দাম বেড়ে ৩৫-৪০-এ চলে যায়। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত কয়েক দিন কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় দাঁড়ায়।