কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এক কর্মচারীর দায়ের করা বিতর্কিত মামলায় খোকসার চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর হাশেম আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৭ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, ভাতা নিতে আসা এক বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদ করলে চড়াও কাউন্সিলর হাশেমের উপর চড়াও হয় উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী বিকাশ কুমার সরকার।
পরে বিকাশ ক্ষুদ্ধ হয়ে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মর্মে পৌর কাউন্সিলর হাশেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় খোকসা পৌরসভা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাম হাসেম আলী। তিনি পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় খোকসাতেও সমাজসেবা কার্যালয়ের সমস্ত ভাতাভোগীদের ভাতার টাকা সরাসরি ভূক্তভোগীদের নিকট পৌঁছে দিতে মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ) এর হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়।এর অংশ হিসেবে ২০ ফেব্রুয়ারি পৌরসভায় নগদ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ভাতাভোগীরা ভীড় জমায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং লাইন সোজা করতে ইউনিয়ন সমাজকর্মী বিপুল কুমার সরকার কাজ করছিলেন। এ সময় বিকাশ ভাতাভোগী বৃদ্ধাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর এটার প্রতিবাদ করেন ঘটনাস্থলে থাকা কাউন্সিলর হাশেম আলী।
এ বিষয়ে আহত সমাজকর্মী বিকাশ কুমার সরকার বলেন, নগদ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ভাতাভোগীরা পৌরসভায় ভীড় জমায়। আমি লাইন সোজা করছিলাম তাদের। এসময় সিড়িতে বেঁধে একজন মহিলা মাটিতে পরে গেলে কাউন্সিলর মিথ্যা অভিযোগ করে চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
তবে, বিকাশের এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
খোকসা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ২০ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৯।