কুষ্টিয়ার খোকসায় এ বছর হঠাৎ করেই মাঠে মাঠে দেখা যাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। আর তাতে উকি দিচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দসিক ছন্দ।
জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব খাতে বরাদ্দ থেকে কৃষকদের বিশেষ প্রণোদনা দেয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ প্রণোদনায় সূর্যমুখীর বীজ ও রাসায়নিক অজৈব সার বিনামূল্যে বিতরণ করায় উপজেলার ২৮ টি কৃষি ব্লকে সাড়ে ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে।
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে কৃষকরা তাদের নিজেদের চাহিদা পূরণে এবার নিজ উদ্যোগে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনায় সূর্যমুখীর আবাদ করছেন বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা।
উপজেলার নিশ্চিন্তবাড়িয়ার কৃষক নাজমুল হাসান বলেন, আমি ৪০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনার বীজ সার ও প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান দিয়ে এবার সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে।
একই গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান প্রণোদনার বিচার নিয়ে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন।
এ ছাড়াও উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের খোর্দ্দসাধুয়া গ্রামের ইসলাম প্রামানিক ৪০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছেন।
উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে কৃষক নাজমুল হাসান অনুরূপ সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সূর্যমুখীর আরডিএস-২৭৫ বীজ রোপণ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা এবং কৃষকরা অধিক পরিচর্যা করায় এবারের সূর্যমুখীর ফলন ভালো হবে।
তবে উপজেলায় সূর্যমুখীর আবাদ বাম্পার হওয়ায় সৌর্ন্দয্য বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।