নানা অজুহাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে জরিমানা আদায় করাসহ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা কার্যালয় চত্বর
কুষ্টিয়া ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠুসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইটভাটা মালিক এ সময় বক্তব্য রাখেন।
হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, দেশের উন্নয়নের চাকা সচল করতে সড়ক ও মহাসড়েক নির্মাণ কাজের জন্য ভাটা থেকে ইট সংগ্রহ করে সেগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটাগুলো এভাবে একের পর এক বন্ধ হয়ে গেলে, মানুষের বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামীণ উন্নয়ন সম্পূর্ণ বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ইটভাটাগুলি বন্ধ হয়ে গেলে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নও ব্যাহত হবে।
তিনি আরও বলেন, ইটভাটার মালিকরা ভাটা বন্ধ করে দেবো। কিন্তু লাখ লাখ শ্রমিকের কাজ বন্ধ হবে। তাদের কি হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায়। আবার যদি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করা হয় তাহলে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির পর অনির্দিষ্টকালীন সময় পর্যন্ত জেলার সকল ইটভাটা মালিকগণ ইট বিক্রিয় ও সরবরাহ বন্ধ করে দিবে। গত ২০১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সংশোধিত আইন এর ৮ (ঙ) ধারা পরিবর্তন করা হয়। এতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়। এতে ভাটার মালিকগণ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ তারা আর নিবন্ধন করতে পারে না। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত এসব ইটভাটা চালুর দাবিও জানানো হয়।
ইটভাটা শ্রমিক রাজু আলী জানান, ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো ইটভাটা বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে পারছি না। তাই ইটভাটা বন্ধ না করে চালু করা হোক। এদিকে প্রায় দশ হাজার শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে চৌড়হাস পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।