শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন

খোকসার আকা‌শে হঠাৎ ‘সান হালো’

কু‌ষ্টিয়ার সময় প্রতি‌বেদক / ২২৯২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ছ‌বি‌টি তু‌লে‌ছেন সুমাইয়া ফের‌দৌস নিহা

রংধনুর কথা আমরা সবাই শুনেছি, দেখেছি। কিন্তু রংধনু যদি বৃত্তাকারের হয় তাহলে তাকে কি বলা যায়? সেই ‌বিরল দৃশ‌্যটিই আজ দেখা গে‌ছে কু‌ষ্টিয়ার খোকসার আকা‌শে।

কু‌ষ্টিয়ার আকাশে আজ দেখা গেছে বিরল এই আলোর ভ্রম। বুধবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১ টা ২৭ মি‌নি‌টে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে তখন সূর্যকে ঘিরে এই বৃত্তাকারের রংধনু দেখা যায়। যার স্থায়ী কাল ছিল ১৩ মি‌নিট।

সুর্যের আলো সাধারণত ১৮০ ডিগ্রি অথবা ৪৫ ডিগ্রিতে বৃষ্টির ফোঁটার উপরে পড়ে সাদা আলোর বিভিন্ন প্রতিসরণ কোণের জন্য রঙ আলাদা হয়ে যায়। যার ফ‌লে সৃ‌ষ্টি হয় এই বৃত্তাকারের রংধনু।

এ নি‌য়ে অ‌নে‌কেই সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে ওই ছ‌বি পোস্ট ক‌রে‌ছেন। বাংলা‌দেশ গ্রাহস্থ‌্য অর্থনী‌তি ক‌লে‌জের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফের‌দৌস নিহা ব‌লেন, আমরা ঐ সময় শুধু আলো দেখিনি, দেখেছি ধুলার উপরে পড়া আলো। আকা‌শে এ‌টি বেশ কিছুক্ষণ স্থায়ী ছিল। শু‌নে‌ছি এ‌টি একটি বিরল অপটিক্যাল এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা।

স্থানীয় সাংবা‌দিক মিলন খান ব‌লেন, আ‌মি এটা দে‌খে অবাকই হ‌য়ে‌ছি। এর আ‌গেও আ‌মি দে‌খে‌ছি। ত‌বে এটা সম্প‌র্কে বিস্তা‌রিত জা‌নি না। ত‌বে এটা জা‌নি, এ‌টি‌কে বলা হয় সূর্য বলয়।

বৈজ্ঞা‌নিক ব‌্যাখাম‌তে, ২২ ডিগ্রি ব্যাসার্ধের সাথে আলোর বৃত্তের ‘সান হ্যালো’ উৎপাদিত হয়ে যখন ষড়ভুজ স্থগিত বরফের স্ফটিকগুলিতে সূর্যরশ্মি প্রত্যাহার করে এবং উচ্চ শীতল পা‌নির ফোঁটাগুলিতে তৈরি হয় সিরাস মেঘ। এ‌টি তৈরি হয় যখন একটি নির্দিষ্ট কোণে সূর্য এই স্ফটিকগুলির সাথে এক হ‌য়ে মি‌লে হয়।

যখন উচ্চ উচ্চতায় জলের বড় বড় ফোঁটা জমা হয় বা প্রচুর বৃষ্টিপাতের পরে সান হা‌লো আস‌তে পা‌রে।

মূলত সান হা‌লো এক‌টি রিং এর আকৃ‌তি। যে রিংয়ের লাল এবং নীল দু‌টি রঙ র‌য়ে‌ছে। যা খালি চোখে স্পষ্ট দেখাই যায়। উজ্জ্বল এই রিংটি কৌতূহলী দর্শকদের আকর্ষণ করেছিল। অনে‌কেই আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর