কুষ্টিয়ার মিরপুরে তামাক ক্ষেত থেকে রঙ্গিলা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রসহ শাহাবুল ইসলাম (২৬) নামের যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
শাহাবুল মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বীজনগর গ্রামের তৌহিদুল মালিথার ছেলে। মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধু রঙ্গিলার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রঙ্গিলা খাতুন নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকার তামাকের মাঠে ঘটনাটি ঘটে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ ক্যানেলের পার্শ্ববর্তী ওই তামাকখেতের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রঙ্গিলা (৩৫) নওদাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই এলাকার মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে মাঠে ছাগল আনতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রঙ্গিলা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে কোথাও পায়নি পরিবারের সদস্যরা। পরে রবিবার সকালে তার প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম মাঠে ঘাস কাটতে গেলে তামাকখেতে রঙ্গিলার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, রঙ্গিলা খুব সাধারণ নারী ছিলেন। তবে তিনি একটি মামলার সাক্ষী ছিলেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, রঙ্গিলার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে যারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি চাই। পারিবারিকভাবেও আমাদের মধ্যে কোনো কলহ ছিল না। কারা এমন কাজ করছে, বুঝতে পারছি না। পুলিশ চাইলে তদন্ত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারবে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, রঙ্গিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা কী কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।