বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

খোকসায় পল্লী বিদ্যুতের ভূতু‌ড়ে বিল!

ওবাইদুর রহমান আকাশ / ৭১৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

করোনাকালে কুষ্টিয়ার খোকসার জনগণের কাছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল এখন নতুন আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে ৷ গত মাসের স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি বিল করা হয়েছে গ্রাহকদের অভিযোগ। আর ভুতুড়ে বিলের ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসের নানা অজুহাত।

কিন্তু লকডাউন শেষ হলেও এর বৃত্ত থেকে এখনও বের হতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ। প্রতি মাসেই একাধিক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারণে প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা, অনেককেই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।

ভুতুড়ে বিল আসা একজন গ্রাহক খোকসা পৌরসভার হেলাল প্রামানিক এটা সমন্বয় এর উপায় কি?  জানতে চেয়ে আক্ষেপ করে ফেসবুকে পোষ্ট করে লিখেন- মার্চে মাসে বিদ্যুৎ বিল দিয়েছিলেন ১২৪৮ টাকা, অথচ এপ্রিলে আগের মাস গুলোর তুলনায় পরিমাণের চেয়ে সর্বোচ্চ হাজার গুণ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন ৪২৫৩ টাকা।

তিনি আরো লিখেন,  প্রতি গরমে আমার বাসায় মাসপ্রতি বিল সর্বোচ্চ একবার বিল এসেছিল ১৬০০ টাকা, যেটিও ছিল অস্বাভাবিক। সাধারণত ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা দিয়ে এসেছি। শীতের দিনে চারশো থেকে ৫৫০ টাকা। জানি না এবার কী হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন হয়তো বিদ্যুৎ বিভাগ বলবে, আমরা বিদ্যুৎ খেয়েছি বসে বসে!

এ বিষয়ে হেলাল প্রামানিকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি অনেক দপ্তরে গিয়েছি। এত দুর্ব্যবহার মানুষ মানুষের সাথে করে আমার জানা ছিলো না। শুধু আমি না আমার মত এমন অভিযোগ নিয়ে অনেক গিয়েছে তাদের সাথেও একই আচারণ করে ওই কর্মকর্তা।

বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে নিকটস্থ দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা এ অবস্থায় এই গ্রাহকের ।

এ ব্যাপারে খোকসা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. ওমর আলীর মুঠোফোনে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পুড়ালে এত বিল আসবে কোনো অব্যশই তারা বিদ্যুৎ পুড়াছে আবার কেউ কেউ সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছে বলেই এত বিল আসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর