প্রায় ৫ মাস ধরে নেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নির্বাচন কর্মকর্তা। বদলি জনিত কারনে চলে যাওয়ার পর স্থায়ী কোন কর্মকর্তা আসেনি এই নির্বাচন অফিসে। পাশের উপজেলা থেকে নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আসেন দৌলতপুর বাসিকে সেবাদিতে। বাকি ৩দিন অফিস চলে ঠেলাঠেলিতে। স্থায়ি কোন কর্মকর্তা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দৌলতপুর বাসিকে। দৌলতপুর বাসির দাবি স্থায়ী একজন নির্বাচন কর্মকর্তার। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন ডিসি মহোদয় ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
কেউ ঠিকানা পরিবর্তন কিংবা কেউ ভুলেভরা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন বা নানা জটিলতা নিয়ে আশে নির্বাচন কর্মকর্তার দুয়ারে সেবা নিতে, কিন্তু যখন দেখেন অফিসে কর্মকর্তা নাই তখন ভুক্ত ভোগীরা সেবা নেয়ার জন্য ঘুরপাক খ্ইা দ্বারে দ্বারে।উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে আসা ভুক্তভোগীরা ঘুরছে মাসের পর মাস সেবা নেয়ার জন্য।
একাধিক সেবা প্রত্যাশিরা বলেন, কাজে সহযোগীতা করার মতো কোন জনবল এখানে নাই, এর আগেও এখানে এসেছি জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা পরিবর্ততের জন্য দুঃখের বিষয় নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকার কারনে আজকেও চলে যেতে হচ্ছে।
৫-৭ বার এসেছি এন.আই.ডির ছবি তোলার জন্য অনেক দুর থেকে আজকেও হবেনা বলছে তাই চলে যাচ্ছি। হয়রানির স্বীকার যেন না হতে হয় সে কারনে স্থায়ি কর্মকর্তার প্রয়োজন অতি দ্রুত।জাতীয় পরিচয়পত্র টি সবার জন্য অত্যান্ত গুরুত্ব পুর্ন, প্রতিটা কার্যক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক। সংশোধনের জন্য দিনের পর দিন ঘুরছি, কর্মকর্তা না থাকায় হচ্ছেনা।
সেবা প্রত্যাশিদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে অফিস সহকারী মো: রশিদুজ্জামান জানান, স্থায়ি নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় সেবা প্রত্যাশিরা চরম ভোগান্তিতে আছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া পাশের উপজেলা মিরপুর নির্বাচন কর্মকর্তা, মোঃ কবির উদ্দিন প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আসেন। দৌলতপুর বাসীকে সেবাদিতে আসলেও পুর্নাঙ্গ সেবা পাচ্ছেনা সেবা প্রত্যাশিরা।
এদিকে উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: ওবায়দুল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে জানানো হয়েছে যে, দীর্ঘদিন যাবৎ দৌলতপুরে নির্বাচন কর্মকর্তা নেই।তবে সেবা প্রত্যাশিদের দাবি স্থায়ি নির্বাচন কর্মকর্তার।