কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
হামলা-মামলার ভয়ে আসবাবপত্র ও গবাদিপ শু নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন মানুষ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আমিরুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েত রয়েছে। অন্যদিকে হামলা-মামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে গ্রাম ছাড়ছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন পাহাড়পুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভ্যান ও বিভিন্ন যানবাহন করে গরু, ছাগল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুরুষশূন্য এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে নারী ও শিশুরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মানুষ বলেন, আমরা কোনো দল করি না। প্রায়ই গ্রামে মারামারি হয়। ভয়ে ঘরের আসবাবপত্র, গবাদিপশু আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে সরিয়ে ফেলি। এবারও তাই করছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যা, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।