কুষ্টিয়া কুমারখালীতে প্রায় সাত লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান ঘরের দলিলপত্রদ জাল করার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। দোকানটি কুমারখালী স্টেশন বাজার এলাকার ভ্যানস্ট্যান্ডে অবস্থিত।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন বলেন, তার ভাইয়ের নাম মো. শহিদুল ইসলাম। তারা শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম এলাকার মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে। শহিদুল আমার দোকান ঘরের জাল দলিল করে নিজের হবে দাবি করছে।
এ দিকে দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বিপাকে পড়েছে ওই দোকানটির ক্রয়সূত্রের বর্তমান মালিক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক। তাকে দোকান ছাড়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী ইসমাইল হোসেন আরো বলেন, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে দোকানের জায়গাটি ইজারা নিয়েছি। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ২০২০ সালে দোকানটি তরিকুলের কাছে বিক্রি করি। বর্তমানে দোকানটি তরিকুলের দখলেই আছে। কিন্তু হঠাৎ আমার ছোট ভাই শহিদুল জাল কাগজ এনে দোকানের দাবি করছে।
বর্তমান দখলদার তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ইসমাইলের কাছ ভাড়া নিয়ে একটি কসমেটিকসের দোকান পরিচালনা করে আসছি দীর্ঘদিন। ২০২০ সালে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ইসমাইল দোকান বিক্রি করতে চায়। সে সময় প্রায় সাত লাখ টাকা দিয়ে দোকানটি কিনেছি। বণিক সমিতি বিষয়টি জানে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই চিকিৎসাজনিত কারণে দোকানটি আমার কাছে বিক্রি করে। কাগজ আছে। কাগজপত্রাদি দেখতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কাছে নেই, পরে দেখানো যাবে।
শহিদুল ইসলামের জাল দলিলের স্বাক্ষী চুন্নু, জিন্নাহ ও ঘনো এই তিন জনের কাছে দোকান ঘর বিক্রির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানায়, শহিদুল তার ভাই ইসমাইলের কাছ থেকে দোকান কিনেছে এই মর্মে একটি স্ট্যাম্পে আমরা স্বাক্ষর করি। তবে কোনো টাকা লেনদেন করতে দেখিনি।
শহিদুলের জাল দলিল করার সহযোগী মিন্টু বলেন, শহিদুল তার ভাইয়ের কাছ থেকে দোকান কিনেছে মর্মে একটি স্ট্যাম্প দেখিয়ে সেটি আমাকে নোটারী পাবলিক করে দিতে বলে, আমি মোকাদ্দেস উকিলের কাছে গিয়ে এভিডেভিড করে দিই। এভিডেভিড করার সময় শহিদুলের ভাই ও তিন স্বাক্ষীর কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
কুমারখালী স্টেশন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তেলাম উদ্দিন বলেন, তরিকুল ইসলাম তারিক দোকানটি ইসমাইলের নিকট থেকে ক্রয় করেছে। বণিক সমিতির প্যাডে তা লেখা রয়েছে।