খবরে ব্যবহৃত ছবিটি ফারুক আহমেদের আর্কাইভ থেকে দৌলতপুরে পদ্মার ছবি
আরও এক সপ্তা’ আগেই পদ্মার পানি লোকালয় আর ফসলের ক্ষেত ছেড়ে নেমে গেছে পদ্মায়। কিছু অতি নীচু এলাকায় জমেছে খানেকটা। ফসলের মাঠে বন্যায় ফেলে গেছে উর্বরতার পলি মাটি। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় নেয়া হয়েছে হালকা সহায়তা ব্যবস্থা। কৃষি বিভাগও ভাবছে ক্ষতিগ্রস্থদের নিয়ে। এই হলো এবছর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বন্যা মৌসুম। গেলো বছর বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলেও এবছর বন্যার পানি পদ্মা তীরবর্তী এলাকাগুলোয় ১৫ থেকে ২০ দিন ছিলো।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাঁধা এলাকার বাসিন্দা তাহের আলী, ঢাকিপাড়ার কৃষক আসাদুজ্জামান তাদেও অভিজ্ঞতা জানিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ এঁটেছেন কেবল বন্যার শুরুতে ঢুবে যাওয়া বীজতলা আর ফসল নিয়ে। কৃষি বিভাগের তথ্যে তাদের হাতে ৯শ’ জন কৃষককে দেয়ার মতো কলায় বীজ রয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যেই সেই বীজ বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি জানেন আগামী রবি মৌসুমে এইসব ক্ষতিগ্রস্থদের কোনভাবে সহযোগিতার আওতায় আনা যায় কি-না সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ জনকে দেয়ার মতো ১০ কেজি করে চালের প্যাকেট দেয়া হয়েছে, একই পরিমাণে দেয়া হয়েছে চিলমারী ইউনিয়নের ১ হাজার ১শ’ জনকে।
গেলো আগস্টের শেষের দিকে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা এবং মরিচা ইউনিয়নের খানেকটা প্লাবিত হয়। সব মিলে এবছর বন্যা শুরুতে যতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিলো এখন তা হাসিমুখেই ভুলতে শুরু করেছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ তাদের তথ্য মতে জানান, পদ্মার পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ থেকে ৪ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।