কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এসি কেবিনের ছাদের ঢালাই ও পলেস্তারা খসে পরে রোগীর স্ত্রী সিমা খাতুন (৪০) আহত হয়েছেন। তার মাথায় দেওয়া হয়েছে ৬টি সেলাই।বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন।এ সময় ওই ওয়ার্ডে সিমা খাতুনের স্বামী রিপন আলী (৪৫) চিকিৎসাধীন ছিলেন।এ ঘটনার পরে তাদের অন্য একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোববার (০৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এসি কেবিনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রিপন আলী বলেন, হার্টের সমস্যা নিয়ে গত ৭ এপ্রিল রাত একটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বেড না পাওয়ায় ৩ হাজার টাকা দিয়ে এসি কেবিন ভাড়া নিয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাঠাৎ করে ছাদের ঢালাই ও পলেস্তারা খসে পড়ে তার স্ত্রী সিমা খাতুনের মাথা ফেটে গেলে দেওয়া হয় ৬ টি সেলাই।সে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় রিপন ও তার স্বজনেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে বলে জানান রিপন।
রোগীর স্বজনরা জানান, অনেক জোরে শব্দ হয়ে এবং ছাদ ধসে পড়ে। চিকিৎসাধীন রোগীর স্ত্রীর মাথায় ছাদের পলেস্তারা ও ঢালাই খসে পড়ে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছে।এতে রোগী ও রোগীর স্বজনরা চিৎকার শুরু করে। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও অবহেলার কারণে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
চিকিৎসাধীন রোগী সিমা খাতুন বলেন, আমাদের বাসা ভেড়ামারা কলেজ পাড়ায়। কয়েকদিন আগে থেকে তিন নম্বর কেবিনে আমার স্বামী চিকিৎসাধীন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শয্যায় শুয়ে ছিল তিনি। হঠাৎ করে ছাদ ধসে পড়ে আমার মাথার ওপর। ছাদের ঢালাই ও পলেস্তারার আঘাতে আমার মাথা ফেটে গেছে। আমার মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে।
ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স নাছিমা খাতুন বলেন, সাড়ে ১১টার দিকে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ওই নারীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে।
এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মো.রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য `এর আগেও কয়েকবার ছাদ ধসের ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সমস্যা বহু দিনের। কয়েকমাস আগেও ছাদের পলেস্তারা ও সিলিং খসে পড়েছিল দুইতিনবার। সে সময় চিকিৎসক, রোগী, রোগীর স্বজন ও নার্স আহত হয়েছিলেন।
