আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুপু রোকশানা খানমকে ডাকতে যান ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত,গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লক করা রয়েছে।
অনেক ক্ষন ধরে ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায়, তারা কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান দোতালার দক্ষিণ পাশে বিছানার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় রয়েছে জখমের চিহ্ন। ওই ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, ড্রয়ার সবকিছু ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
রোকসানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা। তারা স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান যশোরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) চাকরি করেন।
দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষিকাকে তার নিজ বাড়িতেই ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাতের কোন এক সময় কুপিয়ে হত্যা করেছে। আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ নম্বর বাসা থেকে রোকশানা খানম (৫২) নামে ওই স্কুল শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা বলেন, রোকসানার স্বামী যশোরে চাকরি করেন। তিনি সেখানেই থাকেন। মাঝেমধ্যে কুষ্টিয়ায় আসেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। রোকসানা একা বাসায় থাকতেন। মাঝেমধ্যে তার শাশুড়ি তার সঙ্গে থাকে। তিনিও কয়েকদিন ধরে ঢাকায়। বাসায় একা ছিলেন রোকসানা। সকালে তার সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কারা, কী উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করেছে, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সার্বিক বিষয় পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।