ইয়াং এন্টারপ্রেনার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের এর পক্ষ্য থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদান রাখায় তরুণ উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা হয় Young Entrepreneur Award 2021 অনুষ্ঠানে।
গতকাল ৪ জানুয়ারী জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম ঢাকায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ নিজামুল করিম। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির শিক্ষক ডঃ রাফিউদ্দীন আহমেদ মোঃ রেজাউল করিম (ডেপুটি ডিরেক্টর খামারবাড়ি), মীর জাহিদ হাসান (প্রেসিডেন্ট, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়) এবং চলচ্চিত্র জগতের প্রিয়মুখ অভিনেতা নীরব হোসেইন।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও সরবরাহকারীরা যাতে নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারে তার জন্য এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশকে একটি যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে অতিথীরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুন উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে সংগঠনটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে- এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক মাসুমা আক্তার বিথী।
‘বেষ্ট গ্ৰুপ’ ক্যাটাগরিতে বেশ কয়েকটি মনোনয়ন থাকলেও, পুরস্কারটি জিতে নেয় জনপ্রিয় গ্ৰুপ Recycle Bin। পুরষ্কারটি গ্রহণ করেন গ্ৰুপটির প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরিডা শারমিন ও এডমিন মাসুম আব্দুল্লাহ। পুরস্কার গ্রহণের পর অত্যন্ত আবেগী কণ্ঠে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ফ্লোরিডা বলেন, “পুরাতন পন্য ক্রয়-বিক্রয় এর হাট-বাজার বা ওয়েবসাইট থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বপ্রথম সাংগঠনিক কাঠামোতে এই কার্যক্রম শুরু করে রিসাইকেল বিন গ্রুপ। যদিও গ্ৰুপের কার্যক্রম এখন আর পুরাতন জিনিস আদান প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরঞ্চ এখন আমরা মায়া-ভালোবাসা-স্মৃতি ফেরি করে বেড়াই পরিবার থেকে পরিবারে। আর্থসামাজিক নাজুক পরিস্থিতিতে লাখো মানুষকে সেবা দিয়েছে এই গ্রুপ। ‘অপ্রয়োজনীয় পন্য ঝেড়ে ফেলুন’ এই স্লোগান নিয়ে বিনামূল্যে দান বা নামমাত্র মূল্যে পন্য বা সেবা দেয়ার সু্যোগ করে দিয়েছে এই রিসাইকেল বিন। তাছাড়া সারাদেশব্যাপী পন্য সংগ্রহ ও বিতরনে গ্রুপের নিজস্য কুরিয়ার সার্ভিস অবদান রেখে যাচ্ছে নতুন নতুন উদ্দ্যোক্তা তৈরিতেও।
ফ্লোরিডা তার গ্ৰুপের এডমিন-মডারেটরদের ধন্যবাদ দিয়েছেন দিন-রাত স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ১২ লক্ষের একটি বিশাল পরিবার তৈরিতে অবদান রাখার জন্য। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানের কোনো বাঁধাধরা আয় না থাকলেও কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়াই তার কাছে বড় সফলতা। আরও বলেছেন, মানব কল্যানে অবদান রাখতে এধরণের স্মীকৃতি ও পুরস্কার নিঃস্বন্দেহে অনুপ্রেরণা যোগাবে।