কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার চার আসামি।
গত ৩০ অক্টোবর বিকালে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় নিহত হয় একই এলাকার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের রমজান গাইনের ছেলে হামিদুল গাইন ও নজরুল গাইন। দুই সহোদরের নৃশংস হত্যার পর এলাকায় তান্ডব চালাতে ফের প্রস্তুত হতে থাকে হামলাকারীরা। হত্যার খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। হামলাকারীরা এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়, গ্রাম তল্লাশি করে পাঁচ জনকে প্রাথমিক সন্দেহে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক ও শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
২ নভেম্বর নিহতদের পরিবার একটি অভিযোগ দায়ের করে দৌলতপুর থানায়। ওইদিনই হত্যা মামলাটি রেকর্ড করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। এতে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ সহ ৫ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অপূর্ব কুমার ঘোষ জানান, তদন্তের অগ্রগতি এবং আসামি আটকের স্বার্থে এখনই আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, অপরাধীরা চিহ্নিত এবং তাদের আটকের যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে।
দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠী ও সামাজিক অবস্থানগত বিবাদ চলে আসছিলো এ ঘটনার বাদী-বিবাদীদের মধ্যে। যার মধ্যে খানেকটা স্থানীয় রাজনীতির আঁচও পাওয়া গেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা-হামলাও চলমান ছিলো।
খুন হওয়া নজরুল গাইনের ছেলে অভিযোগে সাক্ষরকারী সুরুজ গাইন বলেন, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে আমার পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের ওপর। দু’জনকে খুন করা হয়েছে, চারজন মুমূর্ষু। অনতিবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
দৌলতপুর থানার ওসি আওয়াল কবির জানিয়েছেন, কোনো অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। খুনিদের খুঁজে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
বিশ্বস্ত কয়েকটি সুত্রে জানা গেছে, দু’টি পক্ষই রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহৃত। নিজেদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক মতভেদ থেকে বিবাদ চলেই আসছে। গত কয়েকমাস নানা হুমকি পেয়ে আসছিলো খুন হওয়া গোষ্ঠী। এর আগে খুনি গোষ্ঠীর ওপরও মামলা-হামলা চালিয়েছে বর্তমান ভুক্তভোগীরা।
You must be logged in to post a comment.