শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

স্কুলে উপহারে আনন্দিত দৌলতপুরের শিশু কিশোরেরা

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ১৬২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

খবরে ব্যবহৃত সংগৃহিত ছবিতে স্কুলে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রায় ৩শ’টি প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দেড় লাখ স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক বৃত্তি, সাইকেল, ছাতা-ব্যাগ-টিফিনবক্স-খাতা-কলমের মতো বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলা পরিষদ,উপজেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিভিন্ন খাত থেকে। এই উপজেলায় বর্তমানে শিশু-কিশোর শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা উপকরণ হিসাবে সাইকেল বিতরণ এক অভূতপূর্ব ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে শিক্ষাঙ্গনে।পর্যায়ক্রমে এসব সহযোগীতা পৌঁছানো হবে তুলনামূলক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছে।

সম্প্রতি টানা দু’বছর গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির থাকার পর পুনরায় পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিন্তু, সরেজমিনে দেখা যায় স্কুল খোলার পর থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অসন্তোষজনক ছিলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গৃহিত নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শিশু শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে পাঠকেন্দ্রের ওপর।

বছরে বিভিন্ন খাত থেকে অন্তত ১শ’টির বেশি সাইকেল দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বিভিন্ন সময় সামর্থ্য ও সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বিতরণ করা হয় নানা ধরণের শিক্ষা উপকরণ। এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন বলেন, আমরা মূলত নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে যেন শিক্ষা উপকরণের অভাবে শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে সেই দিকটা খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সর্দার মোহম্মদ আবু সালেক বলেন, শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়ে, অনেকেই এসব উপকরণ পেয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছে।

মুলত ১৯ শতকে ইউরোপে সাইকেলের ব্যাবহার প্রচলিত হয়, আর তা সুবিধাজনক পরিলক্ষীত হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। ’৯০ এর দশক থেকে বাঙালিদের মধ্যে সাইকেল প্রচলন বাড়তে থাকে যার প্রধান দুটি কারণ ছিলো সাইকেলের সহজলোভ্য মূল্য এবং ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চলাচল ব্যবস্থা। ওইসব সময়ে মূলত চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ডাক যোগাযোগের ক্ষেত্রেই সাইকেলের ব্যাবহার দেখা যেত বেশি। পরবর্তীতে ২০০০ সালের পর থেকে এ দেশে সাইকেল হয়ে ওঠে ঘরে-ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয়।

হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র এবং দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ জানিয়েছে তাদের সুবিধার কথা। চরাঞ্চলের চার মাইল পথ নিজে সাইকেল চালিয়ে স্কুল করার কথা জানিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয় সাবিনা ইয়াসমিন।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং চলছে। চলতি বছর থেকে ইউএনও বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছে এপর্যন্ত ৯ জনকে এই বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে।

প্রাথমিক-মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া এবং দরিদ্র শিক্ষার্থী পরিবারের বিদ্যাপীঠের প্রতি অনাগ্রহ কাটাতে এসব উদ্যোগ কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী। তবে নিশ্চয়তা চাইছেন উপযুক্ত বিতরণের।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর