প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা করার খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার (১৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় হানিফ বলেন, সোমবার সচিবালয়ের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা আরও বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি উপকৃত হবে।
এর আগে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান রোজিনা ইসলাম। তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং ১৯২৩ সালের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় তার নামে মামলা করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে।
এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোজিনা ইসলামকে মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। জামিন আবেদনটি অনিষ্পন্ন রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জামিন শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা রয়েছে।
