গেল ৮ জানুয়ারি সকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শীতলাইপাড়া এলাকায় মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয়কে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে অবৈধ গাড়ি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত কথিত অবৈধ গাড়ি বাটাহামবার। সেই ক্ষত নিয়েই সুসংবাদটি শুনলে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক তাশরিক সঞ্চয়।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়িচালক আড়িয়া ইউনিয়নের তরিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলার প্রেক্ষিতে আসামি তরিকুল এবং কথিত গাড়িটির সন্ধানে ছিল দৌলতপুর থানা পুলিশ। আসামি আদালতে গিয়ে ধরা দিলেও, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ গাড়িটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
তাশরিক সঞ্চয় বলেন, সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে দৌলতপুর থেকে মিরপুর উপজেলায় আগে থেকে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান কাভার করতে যাচ্ছিলাম। শ্যলো ইঞ্জিন চালিত লোহার ওই অদ্ভুত গাড়িটি বা’দিকের বাইপাস রাস্তা থেকে উঠে এসে থেমে থাকা মোটরসাইকেলের সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে আমার কাঁধের হাড় ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি মোটরসাইকেল এবং সাথে থাকা যন্ত্রপাতির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়িটির চালকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূল রাস্তা থেকে আমরা মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে চিৎকার করেও ব্যর্থ হয়েছি। জেলায় বিশেষ করে দৌলতপুরে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ গাড়িগুলো সড়কে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এই গাড়িতে প্রতিবছর উদ্বেগজনক হারে হতাহত হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান জানান, এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরাজ জানান, গাড়িটিরও খোঁজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কথিত এসব গাড়ি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইটভাটার অবৈধ মাটি টানা, নদী থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা বালু টানা ও সস্তায় ইট ভাটা সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়; যা সম্পূর্ণ অননুমোদিত বলেও তথ্য রয়েছে।
এদিকে, উপজেলাটিতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে ড্রাম ট্রাক নামে পরিচিত বিশেষ ধরনের ট্রাক এবং শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ির নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলে। এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব অবৈধ কথিত গাড়ির বিষয়ে দ্রুত কঠোর নির্দেশনা আসবে বলেও গুঞ্জণ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।