হাসপাতালে ভর্তির ২৭ দিন পরও দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাত বিচ্ছিন্ন কলেজ শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন শারীরিক অবস্থা ভালো না। এখনো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি।
গত ৩১ শে জুলাই মঙ্গলবার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া আসার পথে হত্যার উদ্দেশ্যে কলেজ শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর উপর নির্মম বর্বরতা চালায় স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী চক্র। ঘটনাস্থলেই সন্ত্রাসী চক্রের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কলেজ শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের ডান হাতের কব্জি থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগির বড় ছেলে মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব ২৬জনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামি জনের মধ্যে এতজন গ্রেফতার হলেও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের পরিবার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বর্তমানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও দুর্ঘটনার সময় তিনি ব্রেইন হেমারেজ (ব্রেইন স্ট্রোক) এর সম্মুখীন হয়।ফলে তার শরীরের বাম পাশের হাত এবং পা অকেজো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর ছোট ছেলে মোঃ নাজমুস হাসিব জানান, হাজার চেষ্টার পরেও হাত জোড়া লাগেনি তার বাবার। তবে হাত জোড়া না লাগলেও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান ভুক্তভোগীর পরিবারের।
ভুক্তভোগির ছোট ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত ২৬জন আসামির মধ্যে ৬জন এখনো পলাতক।বাকিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ভুক্তভোগির পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকিসহ এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।