করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারিভাবে সব সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা না মেনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বগুড়ার কাহালুতে বাল্যবিয়ে করতে যাওয়া বরকে ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ কনের ফুফার ৬ মাস ও কাজীর ১০ মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া বাল্যবিয়ের সহযোগিতা করার অভিযোগে চার জনের ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাহালু পৌর শহরের মহেশপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাছুদুর রহমান।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কাহালু পৌর শহরের মহেশপুর ভুতগাড়ী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার খয়রাবাত গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আব্দুল মোমিনের (৩০) বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সরকারি নির্দেশনা না মেনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গোপনে কনের ফুফার বাড়িতে সকালে চলছিল বিয়ের আয়োজন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান।
এসময় কনের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বাল্যবিয়ে করতে যাওয়া বর আব্দুল মোমিনকে আটক করে ৬ মাস, কনের ফুফা রফিকুল ইসলামের ৬ মাস ও বিয়ে পড়াতে আসা কাজী (রেজিস্ট্রার) আব্দুল গফুরকে ১০ মাসের বিনাশ্রম সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া বাল্যবিয়ের সহযোগিতা করার অভিযোগে কনের ফুফু খালেদা খাতুন, বরের দুলাভাই জাহাঙ্গীর আলম, আত্মীয় সেকেন্দার আলী, আনিছুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ইউএনও মো. মাছুদুর রহমান বলেন, ‘সরকারিভাবে সব সামাজিক অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বরসহ তিন জনের কারাদণ্ড ও ৪ জনের জরিমানা করা হয়েছে।