কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ের পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করছে পোড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান জন। শুধু তাই না প্রায় ২০ বছর ধরে কিছু ভূমিহীন গরিব অসহায় মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেরে নিয়েছে এই প্রভাবশালী চেয়ারম্যান। এমনটি অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলওয়ের একটি বড় পুকুর রয়েছে। সেই পুকুর ভরাট করছে এই প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের লোকজন। সেখানে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস কারী এক বৃদ্ধা জানান, আমি দুই দিনের জন্য একটু বাইরে গিয়েছিলাম। গতকাল এসে দেখি আমার মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমি গত রাতে খুব কষ্ট করে
স্টেশনের উপর শুয়ে ছিলাম। আমি ভিক্ষা করে খায়। আমার কোন জায়গা নেই। জন চেয়ারম্যানের লোকজন আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই কেরে নিয়েছে। প্রায় ৪ বিঘা জায়গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল মার্কেট। সেখানে প্রায় শতাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দোকান বুকিং করছে ব্যবসায়ীরা। ফারুকুজ্জামান জন সহ প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা
এই মার্কেটের দোকান ঘর নির্মাণ ও প্রজিশনের জন্য অগ্রিম টাকা নিচ্ছে। এদিকে এই দোকানঘর নির্মাণ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। একটি সূত্র জানায়, ফারুকুজ্জামান জন ২০১৭ সালে কাটদাহ মৌজার ১০৯ জেএল এর ২৮৮ নং
দাগের ৩২ হাজার ফিট জায়গা বানিজ্যিক ভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে লিজ নেন। এছাড়াও তিনি মাছ চাষের জন্য ৪টি পুকুর লিজ নেয়। সেই পুকুর এখন ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করছে এই চেয়ারম্যান। এছাড়াও রেলের অপারেশনের জায়গা দখল নিয়ে এই মার্কেট নির্মাণ করছে তিনি।
এ দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে, পোড়াদহ ১৩নং কাচারী ভূ-সম্পত্তি বিভাগের ফিল্ড কানুনগো রাজিবুজ্জামান জানান, সেখানে গিয়ে আমি মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বলে এসেছি। এছাড়াও আমি মৌখিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন কেউ যদি
লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয় তবে আমিও লিখিত ভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। তিনি আরো জানান, বানিজ্যিক ভাবে কোন জায়গা লিজ নিয়ে অন্যদের ভাড়া বা প্রজিশন বিক্রয় করতে পারবে না। এটা রেলওয়ে আইনে সমর্পণ নিষিদ্ধ। এরা ক্ষমতার দাপটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান জনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করলে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।