সরকারি সড়কের ১৮ টি মেহগুনি গাছ কেটে সাবার করেছে স্থানীয় এক সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজারা। কাটা গাছ গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। কাটার অপেক্ষায় আছে আরো ৮ টি গাছ। তবে গাছ গুলো বিক্রি করা হয়েছে মাত্র আশি হাজার টাকায়। ঘটনাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রসাইমোড় টু কুঠিবাড়ি গ্রামীণ সড়কে ঘটেছে। সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হামিদুর রহমানের ভাতিজারা হলেন হানিফের ছেলে উজ্জল ও ফাকের এর ছেলে রকি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রসাইমোড় সড়কের মেহগুনি গাছ কাটছেন কয়েকজন শ্রমিক। কাটা ৮ থেকে ১০ টা গাছ মাটিতে পরে আছে। কাটা বেশকিছু গাছ ইতিমধ্যে সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। গাছের ডালপালা গুলো সেলোইঞ্জিন চালিত করিমন গাড়িতে নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় গাছকাটা শ্রমিক রফিক বলেন, হামিদুর চেয়ারম্যানের ভাতিজা উজ্জল ও রকির নিকট থেকে সড়কের গাছ গুলো কেনা হয়েছে। গাছ গুলো আশি হাজার টাকায় কিনেছে শিলাইদহের আড়পাড়ার আজিজ মিস্ত্রি। আমরা তার লেবার হিসেবে গাছ কাটছে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ১৮ টি গাছ কাটা হয়েছে। কিছু সড়িয়ে নিয়েছি। কিছু পরে আছে মাটিতে। বাকী গুলোর কাটাকাটি চলছে।
গাছ কাটার বিষয়ে চেয়ারম্যানের ভাতিজা উজ্জল উগ্র মেজাজে বলেন, গাছ গুলো আমরা লাগিয়েছি। আমরা কাটছি। কার কি করার আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে ভূমি অফিসের স্টাফ পাঠিয়েছি। পুলিশকেও গাছ গুলো জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। শিলাইদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসেছি। সড়কের পাশের বেশকিছু গাছ কাটা হয়েছে। ম্যাপ ধরে দেখা হচ্ছে গাছ গুলো সড়কের কিনা।