মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্বাবধানে সেলিম হোসেনের মরদেহ তোলার পর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কুষ্টিয়াতে লাশ পোস্ট মর্টেম করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় মরদেহটি ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় বিপত্তি বেলা ১১ টায় মরদেহ লাশ কাটা ঘরে পৌঁছালেও বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কুষ্টিয়া হাসপাতালের আরএমও ডা. আশরাফুল, ডা. মাহাফুজ, ডা. ডা.রুমন ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে পোষ্টমর্টেমে অপারগতা প্রকাশ করায় লাশ ঢাকা বা রাজশাহী মেডিক্যালে নেবার প্রস্তাব দেয় তারা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান মরদেহের বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের কমিটির লিখিত আকারে মতামত দিয়েছে। সেটি সির্ভিল সার্জনের উপর দায়িত্ব পড়েছে। সির্ভিল সার্জন যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে ।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ড. সেলিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ভালো রিপোর্ট পাওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে ড. সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলী কুষ্টিতে তার ছেলের লাশ ময়নাতদন্ত না হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলছেন নিশ্চয় কোন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে এতো লাশ কুষ্টিয়াতে ময়নাতদন্ত করা হয় তার ছেলের ক্ষেত্রে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো?