রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

মেধাবী রাজিয়ার পাশে দাঁড়ালেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী নেটওয়ার্ক

মমিন হোসেন ডালিম / ৭৭৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩, ১২:৫০ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সি ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া খোকসার রাজ মিস্ত্রী কন্যা রাজিয়া সুলতানার আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে এলেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী নেটওয়ার্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নগদ ১৫ হাজার টাকা শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানার বাবা আ: রাজ্জাকের হাতে তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মিশন।

রবিবার (১৮ই,জুন,২০২৩) সন্ধ্যা ছয়টা’য় খোকসা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্নে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী নেটওয়ার্ক এর অফিসে এই অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় ঐ শিক্ষার্থীর বাবা আ: রাজ্জাক বলেন, আমার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরে আমি খুবই চিন্তায় ছিলাম এত টাকা কিভাবে জোগাড় করব। আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ভর্তির টাকা জোগাড় হলো।

আমি এই প্রতিষ্ঠানটির সফলতা কামনা করি।এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস মহদয় ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন আর ১৫ হাজার টাকা দরকার ছিল সেটা পূরণ হলো। এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান, মাহবুব আলম মিশন এই প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা যখন আপনার প্রফাইলে একটা ষ্ট্যাটাস দেখলাম ২৫ হাজার টাকার জন্য দেশের সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রাজিয়ার ভর্তি অনিস্চিত তখন আমরা সিদ্ধান্ত তার ভর্তির টাকা আমরা দিব।

আসলে এটা (টাকা) ম্যানেজ করা আমাদের জন্য যতটা সহজ তার পরিবারের জন্য হয়ত সেটা সহজ ছিলনা। এটা আমরা সামাজিক দায়িত্ব থেকেই করেছি।উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামের হতদরিদ্র কাঠ মিস্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও সেলিনা খাতুন দম্পতির মেয়ে রাজিয়া সুলতানা। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে বড়।

২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে আলহাজ্ব সাইদুর রহমান মন্টু মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। দারিদ্রতার সাথেই বেড়ে ওঠা রাজিয়ার, পড়েছে বানিজ্য বিভাগে। প্রথম শ্রেণি থেকে সব ক্লাসেই তার রোল ছিল এক। পঞ্চম, অষ্টম ও এসএসসিতে কৃতিত্বের সাথে জিপিএ ৫ সহ পাশ করেছে।

কলেজে বানিজ্য শাখায় ভর্তি হয়। অন্য দিকে তার একমাত্র ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম রাজুকে ভর্তি করা হয় ঝিনাইদহ পলিটেকনিক্যাল ইনিষ্টিটিউটে। দুই সন্তানের লেখাপড়ার ব্যয় চালাতে চরম টানাপোড়েনের মধ্যে পরেন কাঠ মিস্ত্রী বাবা রাজ্জাক। একমাত্র মেয়ে রাজিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে মেধা তালিকায় ৯১৫ তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তিনি যেমন আনন্দিত হয়েছেন। অন্যদিকে মেয়ের ভর্তি ও লেখা পড়া চালানোর খরচের টাকার যোগান নিয়ে তার চিন্তার অন্ত নাই।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর