কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার তেঘরিয়া গ্রামের আবু তালেব খানের ছেলে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারন জনগনের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়া প্রতারক মুক্তারুল মিরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে।
জানা যায় প্রতারক মুক্তারুল বিভিন্ন সময় প্রবাসে অবস্থানরত প্রবাসীদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে ও বিভিন্ন কাজ করে দেবে বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। পাশাপাশি নিজের বিশেষ কাজে আর্থিক অনটনের কথা বলেও বন্ধুত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুক্তারুল হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।
আর এইসব বিষয় নিয়ে পাওনা টাকা ভুক্তভোগীরা চাইতে গেলে মুক্তারুল শুরু করে নানা রকম তালবাহানা, দেবো দিচ্ছি বলে করতে থাকে কালক্ষেপণ।
বেশ কয়েক মাস আগে যশোর জেলার চৌগাছা থানার দিঘড়ী গ্রামের আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যক্তির প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে মুক্তারুল ০৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে উক্ত টাকা চাইতে গেলে প্রতারক মুক্তারুল টাকা দেবো দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে পাওনা টাকা ভুক্তভোগী ফেরত না পাওয়ায় মিরপুর থানায় শরীরে উপস্থিত হয়ে প্রতারক মুক্তারুল কে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত এজাহার জমা দেন প্রবাসীর বাবা আব্দুল হামিদ।
পরবর্তীতে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে মিরপুর থানা পুলিশ, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম কুষ্টিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সার্বিক তদারকিতে এসআই মুরাদ ও সঙ্গীয় ফোর্সের বিশেষ অভিযানে মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রতারক মুক্তারুল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মিরপুর থানা পুলিশ।
প্রতারক মুক্তারুল মিরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে এমন খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে থানা এলাকায় আস্তে আস্তে জড়ো হতে থাকে পাওনাদাররা। সকলের হিসাব-নিকাশ শুনে বোঝা যায় প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে গাঢাকা দিয়েছিল এ মুক্তারুল।
এ বিষয় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগির এজাহার পেয়ে আমরা আসামি মুক্তারুল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার নামে থানায় একটি প্রতারণা মামলা হয়েছে যার নং- ৩২