শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, সেই সুপার গ্রেফতার!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  / ৩৩২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০৭ অপরাহ্ন
মাদ্রাসার সুপার গ্রেফতার
মাদ্রাসার সুপার গ্রেফতার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অষ্টম শ্রেণির এক আবাসিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকালে মিরপুর থানায় ওই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (৪২) মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক)।

এলাকবাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদ্রাসার ওই ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই মাদ্রাসার প্রধান আব্দুল কাদের। সোমবার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে জানায়। পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা ভাঙচুরও করে ওই মাদ্রাসায়।

ওই শিক্ষার্থীর বাবার দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর অভিভাবক তার মেয়ের খাবার দিতে এলে অফিস কক্ষে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। বিষয়টি সোমবার সকালে ওই ছাত্রীর পরিবারকে জানানো হয়। এরপর ছাত্রীর মা মাদ্রাসায় গিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শোনেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখান।

অভিযোগে বলা হয়, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের তার মেয়েকে রবিবার ভোর ৫টার দিকে এবং একইদিন রাত ৮টার সময় ধর্ষণ করেন।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ছয়দিন ছাত্রী ওই মাদ্রাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত। আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার ম্ওালানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে অফিস কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন।

তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তার বয়স নির্ধারণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর