তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে প্রাণিকুল হাঁসফাঁস করছে। বৃষ্টির জন্য প্রহর গুনছে মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টির আশায় ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ওই ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া দোপের মাঠে খোলা আকাশের নিচে সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা অংশ নেন।
আয়োজকরা জানান, তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।
নামাজে অংশ নেওয়া কয়েকজন মুসল্লী জানান,বৃষ্টি না হওয়ার কারণে শুধু মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে না, প্রাণিকুল সকলেরই কষ্ট হচ্ছে। মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয় আজ ইসতেসকার নামাজ হবে। আমি তাই এখানে এসেছি। আল্লাহর কাছে নাজাত চাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো মুক্তি নেই।
এতো দীর্ঘ ও উচ্চ তাপমাত্রা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আসলে দুর্যোগ হলে মানুষের কিছু করার থাকে না। আল্লাহর কাছে হাত পাততে হয়, নিজেকে সমর্পণ করতে হয়। তার কাছে সাহায্য চাইতে হয়। আল্লাহ ছাড়া এই কষ্ট থেকে কেউ নাজাত দিতে পারবে না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে আমরা এখানে এসেছি।
নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী জানান, বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা চেয়ে দুরাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি।